আদিবাসীদের অধিকার রক্ষায় ডাসকো ফাউন্ডেশন প্রসপেক্ট প্রকল্পের উদ্দ্যোগে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উদযাপন: - কাঁকন জার্নাল

সর্বশেষ সংবাদ

Home Top Ad


 

Post Top Ad


 

Thursday, August 11, 2022

আদিবাসীদের অধিকার রক্ষায় ডাসকো ফাউন্ডেশন প্রসপেক্ট প্রকল্পের উদ্দ্যোগে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উদযাপন:


আদিবাসীদের অধিকার রক্ষায় ডাসকো ফাউন্ডেশন প্রসপেক্ট প্রকল্পের উদ্দ্যোগে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উদযাপন:

 নিজস্ব প্রতিনিধি

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মিল রেখে আজ বাংলাদেশেও পালিত হয় ০৯ আগষ্ট- ২০২২ আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস।গত ১০/০৮/২০২২ ইং তারিখ আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ফেডারেল মিনিষ্ট্রি ফর কো- অপারেশন এন্ড ডেভলপমেন্ট নেট্জ বাংলাদেশ এর আর্থীক সহযোগীতায় এবং ডাসকো ফাউন্ডেশন প্রসপেক্ট প্রকল্পের আয়োজনে রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলা তানোর উপজেলা এবং ন্ওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলা পত্নীতলা উপজেলার মোট ২৩ টি ইউনিয়নে একটি পৌরসভায় নাগরিক সমাজ সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে আন্তর্জাতিক  আদিবাসী দিবস উদযাপন উপলক্ষে র‌্যালী আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। নাগরিক সমাজ সংগঠনের সদস্যদের সাথে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি স্থানীয় সরকারের সদস্যগণ র‌্যালী আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবসের তাৎপর্য আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা তাদের বর্তমান অবস্থা তুলে বলেন বছর আর্ন্তজাতিক আদিবাসী দিবসের- ২০২২ সালে দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় হলোঐতিহ্যগত বিদ্যা সংরক্ষণ বিকাশে আদিবাসী নারীদের ভূমিকা। এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে : আদিবাসী অধিকার প্রতিষ্ঠায় নতুন সামাজিক অঙ্গীকারের আহ্বান।                                                                  

জাতিসংঘের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, পৃথিবীর সমগ্র জনগোষ্ঠীর . শতাংশ অর্থাৎ  বিশ্বের চল্লিশটিরও বেশী দেশে প্রায় আদিবাসীদের জনসংখ্যা প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ কোটির বেশী।   বিপুলসংখ্যক মানুষের রয়েছে বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি, স্বতন্ত্র ভাষা, সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার ঐতিহ্য। পৃথিবীকে মানুষের বসবাসের উপযোগী রাখা, প্রাণ জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা করা এবং পৃথিবীকে বৈচিত্র্যময় করে রাখার পেছনে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর রয়েছে মৌলিক ভূমিকা।  বাংলাদেশে প্রায় ৫৫টির বেশি আদিবাসী জনগোষ্ঠী রয়েছে এবং প্রায় ৩০ লক্ষাধিক আদিবাসীর বসবাস রয়েছে। এসব আদিবাসীরা তাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক পরিচয়, ভূমির অধিকার, মানবাধিকার নাগরিক মর্যাদার সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবীতে উক্ত দিবসটি উদ্যাপন করে থাকেন। যদিও বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন সময়ে উপজাতি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হিসেবে তাদের আখ্যায়িত করেছে।

 

এছাড়াও ২০১০ সালে আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীকে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে।  কিন্তু এই জনগোষ্ঠী উপজাতি বা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হিসেবে নয় বরং আদিবাসী হিসেবেই নিজেদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি তারা পেতে চায়।  

 

আমরা মনে করি, বাংলাদেশে বসবাসরত আদিবাসীদের বিভিন্ন ধরনের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিতকরণের জন্য জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে পাস হওয়া আদিবাসী অধিকার সনদে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে অনুস্বাক্ষর করা জরুরি

 

এছাড়া দেশের  আদিবাসীদের আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি                                                                                    আদিবাসীদের মাতৃভাষায় শিক্ষাদান ব্যবস্থার বাস্তবায়ন                                                                                                 শিক্ষা চাকরিসহসকল ক্ষেত্রে আদিবাসী কোটার যথার্থভাবে পূর্ণ বাস্তবায়ন                                                        আদিবাসী উপর অত্যাচার ,নির্যাতন, বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ, ভূমি দখল বন্ধ করতে হবে


কারণেই বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উদযাপন শুধু আদিবাসী জনগোষ্ঠীর স্বতন্ত্র বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক প্রদর্শনীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না; বরং আদিবাসী জনগোষ্ঠী নানামুখী দুঃখ-দুর্দশা, বঞ্চনা এবং সমস্যার বয়ানও উৎসব উদযাপনের সঙ্গে সম্পৃক্ত।                                                          

প্রতি বছর আগস্ট আন্তর্জাতিক দিবসটি বিশ্বব্যাপী পালিত হলেও বাংলাদেশে ২০০৪ সাল থেকে পালিত হয়ে আসছে। মূলত ২০০১ সালের ১৩ জুলাই বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম গঠনের পরে বেসরকারীভাবে বৃহদাকারে আন্তর্জাতিক দিবসটি পালিত হচ্ছে।

২০০৭ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে পাস হয় 'আদিবাসীদের অধিকার সনদ', যেখানে বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি আদিবাসীর সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক রাজনৈতিক অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়। নানান আলোচনা, বহুমুখী তর্ক-বিতর্ক, এবং প্রায় দুই দশকাধিক সময়ের নানামুখী বিচার-বিশ্নেষণের ভেতর দিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৃহত্তর ফোরামে আদিবাসীদের অধিকার-সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সনদটি  তৈরি করা হয়।

বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রাজশাহী রংপুর বিভাগের জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী,নওগাঁ,নাটোর,পাবনা, সিরাজগঞ্জ, জয়পুরহাট, রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও,গাইবান্ধা, বগুড়া ইত্যাদি জেলাগুলিতে সাঁওতাল, শিং, ওঁরাও, মুন্ডারি, বেদিয়া মাহাতো, রাজোয়ার, কর্মকার, তেলী,তুরী, ভুইমালী, কোল, কড়া, রাজবংশী, মাল পাহাড়িয়া, মাহালী ইত্যাদি জাতিগোষ্ঠি বসবাস করছে। অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামে (রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি বান্দরবান) চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, মুরং বা ম্রো, খিয়াং, লুসাই, পাংখোয়া,বম, খুমী চাক জনগোষ্ঠি বসবাস করছে। বিশ্বের সকল আদিবাসী তাদের নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি,অধিকার নাগরিকত্ব পা্ওয়ার জন্য দিবসটি গুরুত্বের সাথে পালন করে থাকেন।প্রতিটি দেশের বিভিন্ন ইস্যুতে আদিবাসীদের অবদান অতুলনীয়। হোক তা অর্থনীতির উন্নয়নে বা পরিবেশ সংরক্ষণে সব জায়গায় তাদের অবদান রয়েছে। তাই তাদের সংস্কৃতি অধিকার নিয়ে অধিকারের জন্য।
কাকন জার্নাল/তরিকুল ইসলাম

 

           

                                                                                                                                                                             

 




No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad


 

Pages