নিজস্ব প্রতিবেদক:
তানোর, নোয়াখালী ও সিলেটসহ সারা দেশব্যাপী ধর্ষণের প্রতিবাদ ও ধর্ষকদের গ্রেফতার করে সবোর্চ্চ শাস্তির দাবিতে রাজশাহী গোদাগাড়ী উপজেলা কাঁকন হাটে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আজ শনিবার (১০ অক্টোবর) সকাল ১০.৩০ টায় কাঁকন হাট বাসস্ট্যান্ড কাকন হাট বাজারে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশন রাজশাহী জেলা জোনাল কমিটি ও রাজশাহী জেলা নাগরিক সমাজ সংগঠন ডাসকো ফাউন্ডেশন এর যৌথ উদ্দোগে কর্মসূচী টি পালিত হয়। মানবাবন্ধনে সংস্থার উদ্ধতন কর্মকর্তাগণ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ সে মানববন্ধনে সংহতি জানান ও উপস্থিত ছিলেন।
সে মানববন্ধনে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশন রাহজশাহী জেলা জোনাল কমিটির সভাপতি ও জেলা নাগরিক সমাজ সংগঠন এর সভাপতি জনাব মো: মানসুরুর রহমান, মো: আমিনুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক, খন্দকার মো: লিয়াকত আলি সাংগঠনিক সম্পাদক, মো: আবুল কাশেম আইন বিষয়ক সম্পাদক, মো: আজাহার আলি সহ-সভাপতি, মো: আলম বিশ্বাস সহ-সভাপতি, মো: মিজানুর রহমান মেছের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক, মো: তরিকুল ইসলাম অর্থ সম্পাদক, অঞ্জলী শিশু ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদীকা, মো: হাবিবুর রহমান বাবু সহ-সাধারণ সম্পাদক, মো: নুরুল হোদা সহ-সমাজ কল্যান সম্পাদক, মি. স্যামুয়েল হাসদা প্রচার সম্পাদক, মি. লাজারুস সরেন সহ-প্রচার সম্পাদক , মোসা: ফারজানা সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদীকা, মো: শফিকুল ইসলাম সদস্য, মো: সেরাজ উদ্দিন সদস্য, মোসা: রাবিয়া খাতুন সদস্য, মো: মোফাজ্জুল হোসেন সদস্য, মো: আমজাদ আলি সদস্য, মোসা: সামিমা খাতুন সদস্য, মো: দুরুল হোদা সমন্নয়ক ডাসকো ফাউন্ডেশন কাকন হাট, সাধারণ জনগণ এর মধ্য থেকে বক্তব দেন মুফতি খাঁন মোহাম্মদ মুহাইমিনুল তারিক তিনি পেশাই এক জন আলেম ও ইমাম এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিল বিভিন্ন পেশার মানুষ। উপস্থিত সকলে একটি স্লোগান দেন তা হলো “ধর্ষকের বিরুদ্ধে জেগে উঠো বাংলার জনগণ”
৬ দফা দাবিসমূহ হলো:
০১. ধর্ষণের বিচারের জন্য দ্রুত আলাদা ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে। সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে যে কোন ধর্ষণ কারীকে সর্বোচ্চ শাস্তির আইনের বিধান করতে হবে।
০২. ১৮ বছরের নীচে কোন কিশোরী ধর্ষিত হলে তার পড়াশুনা, চিকিৎসাসহ সকল দায়ভার রাষ্টেকে বহন করতে হবে।
০৩. ধর্ষণ মামলা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনাল এর মাধ্যমে নিস্পত্তি করতে হবে।
০৪. ধর্ষণকে জামিন অযোগ্য অপরাধ বলে ঘোষণা করতে হবে।
০৫. আগামী তিন মাসের মধ্যে পূর্বে সংগঠিত সকল ধর্ষণ মামলার বিচারের কাজ দ্রুত নিস্পত্তি করতে হবে।
০৬. কোন ধর্ষণ মামলায় প্রশাসনের কারো স্বজনপ্রীতি, গাফিলতি ধরা পড়লে অথবা টাকা নিয়ে নিষ্পত্তি করতে চাইলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
পরিশেষে আরো বলা যায় যে, ধর্ষকদের কোন বাবা নেই, কোন মা নেই, কোন জাত নেই, কোন ধর্ম নেই- তাদের একমাত্র পরিচয় তারা ধর্ষক। আসুন আমরা জাতি, ধর্ম, বর্ণভেদে সবাই ধর্ষকের বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলন গড়ে তুলি। আমাদের মা-বোনেরা নিরাপদে চলাফেরা করুক, আমাদের সন্তানেরা নিরাপদে বেড়ে উঠুক এই আমাদের প্রত্যশা। তাই আমাদের একটিই ¯েøাগান “ধর্ষণের বিরুদ্ধে জেগে উঠো বাংলার জনগণ”
কাঁকন জার্নাল/তরিকুল ইসলাম




No comments:
Post a Comment