নিজস্ব প্রতিবেদক:
পুকুরের মাছ হলো মৎস্য চাষী মাসুদ রানার (৪২)কাল। পুকুরের মাছ পাহাড়া দিতে
গিয়ে দুর্বৃত্তের হাতে গেল তার প্রাণ। সোমবার সকালে রাজশাহীর গোদাগাড়ী
উপজেলাা লালাদিঘী এলাকায় পুকুর পাড় থেকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় মৎস্য
চাষী মাসুদ রানার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই মৎস্য চাষীর সহযোগী
লিটন (৩৬) আহত হয়েছেন।
নিহত মৎস্য চাষী মাসুদ উপজেলার চাপাল গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। আহত লিটন কানাইডাঙ্গা গ্রামের রিয়াজের ছেলে। তবে পুলিশ ধারণা করছে, রবিবার দিবাগত রাতে কোনো একসময় দুর্বৃত্তরা ওই মৎস্য চাষীকে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যার করেছে।
এলাকাবাসীরা
জানাই, মাসুদ তার সহযোগী লিটনকে নিয়ে লালাদিঘী এলাকায় পুকুরের মাছ পাহাড়া
দেওয়ার জন্য রবিবার রাত ৯ টার সময় পুকুরে যায়। সোমবার ভোর রাত্রীতে পুকুর
থেকে মাছ ধরার জন্য মাছ ধরা জেলে ঠিক করা ছিল মাসুদের। এদিকে আনুমানিক রাত
৩টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত ওই পুকুরে মাছ চুরি করতে আসে। তাঁরা লিটন ও
মাসুদের হাত, পা ও মুখ বেঁধে ফেলে রাখে। এরপর তাঁরা পুকুরে জাল ফেলে মাছ
ধরতে থাকে। এরই মধ্যে লিটন ও মাসুদের ঠিক করা জেলেরা মাছ ধরতে চলে আসে।
তাঁদের দেখে চোরেরা জাল ও মাছ ফেলে পালিয়ে যায়। এরপর জেলেরা পুকুর পাড়ের
টংঘরে গিয়ে লিটনের হাত-পায়ের বাঁধন খুলে দেন। তখন দেখা যায় মাসুদ মারা
গেছেন। মাসুদের মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেন এলাকাবাসী। ওই মৎস্য চাষী সাদা
টি শার্ট ও লুঙ্গি পরা ছিল। মাছ ধরা জাল দিয়ে হাত-পা বাঁধা এবং মুখে ও গলায়
গামছা পেঁচানো ছিল।

গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ
কামরুল ইসলাম জানান, পুকুরের পাড়ে একটি টিনের ঘর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, গতকাল
রবিবার রাতের কোনো একসময় ওই মৎস্য চাষীকে দুর্বৃত্তরা হত্যা করে ওই স্থানে
তার মরদেহ ফেলে রেখে যায়।
ওসি বলেন, যে জাল জব্দ করা হয়েছে সেটা টানতে
১০ জনের বেশি লোক প্রয়োজন। তাই আমরা ধারণা করছি চোরেরা ১০ জনের বেশিই ছিল।
তাঁদের শনাক্ত করার কাজ চলছে। এ ব্যাপারে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা
হবে।
কাকন জার্নাল/তরিকুল ইসলাম
No comments:
Post a Comment