অনলাইন ডেক্স:
সারের বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে। অভিযোগ উঠেছে, এর নেপথ্যে রয়েছেন একশ্রেণির অসাধু ডিলার, যাদের কারসাজিতে নির্ধারিত মূল্যে পর্যাপ্ত সার পাচ্ছেন না কৃষক। রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রাজশাহীর -গোদাগাড়ী, কাকনহাট, তানোর, পবা, মোহনপুর, বাগমারাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শীতকালীন সবজি, ভুট্টা ও বোরো আবাদের এ সময়ে প্রয়োজনীয় সারের অভাবে কৃষকরা বিপাকে পড়েছেন। রবিশস্যের বীজ বপনের সময়কাল ১৬ অক্টোবর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। এ সময়ে মূলত ফসফেট, টিএসপি, ডিএপি জাতের সার ব্যবহার করা হয়।
চারা গজানোর পর ব্যবহার করা হয় ইউরিয়া সার। আমাদের এখানে কৃষকরা মূলত তিউনিসিয়ার কালো টিএসপি (ট্রিপল সুপার ফসফেট) সার বেশি পছন্দ করেন। যদিও মাঠপর্যায়ে টিএসপি সারের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে, তারপরও এ বিষয়ে এখনো সেভাবে সাড়া পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, সরকার কৃষকদের চাহিদা অনুযায়ী ভর্তুকি দিয়ে সার আমদানি করছে। অথচ এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা কৌশলে কৃষকদের পকেট কাটছেন, যা শক্ত হাতে রোধ করা প্রয়োজন।
বলার অপেক্ষা রাখে না, এ সময়ে কৃষকের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সারের জোগান নিশ্চিত করা না হলে কৃষিপণ্যের উৎপাদন খরচই কেবল বাড়বে না; একইসঙ্গে উৎপাদনও হ্রাস পাবে। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কৃষক। সারের দাম নির্ধারণ থেকে শুরু করে বাজার নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি প্রায় সবকিছু সরকারের হাতে থাকায় সারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারীদের চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দায়িত্ব সরকারের ওপরই বর্তায়। ভরা মৌসুমে সার নিয়ে কোনোরকম সংকট সৃষ্টি হোক, তা আমরা চাই না।
কাকন জার্নাল/তরিকুল ইসলাম



No comments:
Post a Comment