আজ ২৬ ডিসেম্বর গোদাগাড়ী উপজেলার কাকনহাট উচ্চ বিদ্যালয় হতে সকাল আনুমানিক ১০ টার দিকে কিছু ছাত্র-ছাত্রি বেতন বহি নিয়ে বের হয়ে আসলে আমরা নিজ উদ্দোগে তাহার বেতন বইটি দেখতে চাই তখন তাদের মধ্যে এক জন তাহার বেতন বই আমাদের দেখতে দেয়। বেতন বইয়ে দেখি গত বছরের ন্যায় এবারো কাকন হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক গণ টিউশন ফি ছাড়াও সেশন চার্জ নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে। আমরা ছাত্র ছাত্রীদের বলি তোমরা জানোনা এই বছর টিউশন ফি ছাড়া অন্য কোন বিষয়য়ে স্কুল কর্তৃপক্ষকে টাকা দেওয়া লাগবে না তারা উত্তরে বলে আমরা এই বিষয়ে কিছু জানিনা আমাদের কাছ হতে পূর্বের ন্যায় টাকা নিয়েছে।
কিন্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর করোনার মধ্যে প্রতিষ্ঠান ও অভিবাকদের কথা চিন্তা করে গত ১৯-১১-২০২০ ইং তারিখে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ যাহার স্বারক নং-ওএম/৯১-সম/২০০৮-২৪৮ তাহাতে স্পষ্ট করে লেখা আছে যে টিউশন ফি ছাড়া ভর্তির সময় কোন ক্রমে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা যাবে না যদি কোন প্রতিষ্ঠান আদায় করে থাকে তবে তা পরে টিউশন ফি এর সাথে সম্ময় করে দিবে। সে বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী কোন প্রকার বাড়তি অর্থ আদায় করা ঠিক নয়। তবে কাকন হাট উচ্চ বিদ্যালয় টিউশন ফি ছাড়াও অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে সেশন চার্জ বা স্কুল ,ছাত্র-ছাত্রীর উন্নয়ন,খেলাধুলা, স্কাউট, সাংস্কৃতি ফি,দরিদ্র ফি,বিদ্যুৎ ফি,মেরামত বা সংরক্ষণ,আসবাব পত্র, কন্টিজেন্সি,বেতন বই ফি সহ বিবিধ।
তাদের এই বাড়তি ফি আদায় করা নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশন রাজশাহী জেলা জোনাল কমিটির হেড অফিসে একটি লিখিত অভিযোগ করবেন বলে জানান কাকন হাট উচ্চ বিদ্যালয় নবম শ্রেণীর মোসা: মুস্তারি আক্তারের বাবা মো: মোস্তফা, তিনি বলেন আমাদের সাথে এই অন্যায় অবিচার মেনে নেওয়া যায় না। সরকার জনসাধারণের কষ্টের কথা চিন্তা করে সকল কিছু মাফ করছেন আর তারা আমাদের কাছ থেকে বাড়তি অর্থ আদায় করছে আমি এই হতে দিবনা প্রয়োজনে আমি উপজেলার ইউ এন ও অফিসে জাবো বা রাজশাহী শিক্ষা অফিসে জাবো কিন্তু এই অন্যায় হতে দিবো না।আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশন এর কর্মকর্তা গণ এই বিষয়টি গোদাগাড়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জনাব মো: দুলাল আলম কে অবগত করার জন্য ফোন করলে তিনি আমাদের পরিচয় জেনে আর কোন কথা না বলে ফোনটি কেটে দেন।
আমরা সংস্থার মাধ্যমে জানতে পারি যে, রাজশাহী জেলা শিক্ষা অফিসার গণ
বিষয়টি সরজমিন তদন্ত করছে।
আমরা গত ২৩ তারিখ গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রায় সকল স্কুলে ভর্তির নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে এই মর্মে একটি নিউজ পোষ্ট করি কিন্তু আমরা সরজমিনে তদন্ত করে দেখি এখনো অনেক স্কুল বা মাদ্রাসা ভর্তির কাজ শুরু করেনি অথচ আমরা দেখছি আমাদের গোদাগাড়ী উপজেলার কাকন হাট উচ্চ বিদ্যালয় তাদের ভর্তির কাজ পুরো দমে শুরু করেছে আর তারা অভিবকদের কাছ দেখে সেশন চার্জ নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে।
আমরা আন্তরিক ভাকে দুঃখিত, প্রায় সকল স্কুল লেখার কারণে আমরা বিষয়টি সংশোধন করে দিয়েছি।
সম্পাদক মো: মানসুরুর রহমানকাকন জার্নাল/তরিকুল ইসলাম







No comments:
Post a Comment